Description
কাউ ফল
কাউফল ইংরেজি- Cowa (mangosteen.
বৈজ্ঞানিক নাম - Garcinia cowa Roxb
বা Garcinia kydia Roxb.
অন্যান্য নাম - কাউয়া, কাগলিচু, তাহগালা ( মারমা), ক্যাফল, কাউ-গোলা ( চাকমা) ইত্যাদি।
গাছ মাঝারি আকৃতির বৃক্ষ জাতীয়, ডালপালা কম, উপরের দিকে ঝোপালো। গাছের রঙ কালচে।
সাধারনত জঙ্গলে এই গাছ দেখা যায়। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে কমলা বা হলুদ হয়।
ফলের ভেতর চার-পাঁচটি অংশ থাকে। রসালো ভক্ষ্যন অংশ থাকে ।
কাউ খেলে দাঁতে হলদেটে কষ লেগে যায় বলে ফলটি জনপ্রিয় নয়। ফলের আকার লিচুর সামান্য বড় হয়।
বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ চীন, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে কাউ গাছ দেখা যায়।
* ফলটির স্বাদ টক। খেতে ভাল লাগে। পাকা কাউফলের রসালো কোয়া গুলো খুলে নিয়ে মরিচের গুড়া, লবন, দিয়ে ভর্তা করে খেতে খুব ভাল লাগে।
ফলের গুণাগুণ
১* সর্দিজ্বর ও ঠান্ডা প্রশমনে খুব উপকারী।
২* ফল আমাদের মুখের অরুচি দূর করে।
৩* গাছের ছাল খিচুনি রোগের জন্য খুব উপকারী।
৪* কাউফল আমাশয় ও ডিহাইড্রেশনে খুব ফলদায়ক কাজ দেয়।
৫* মাথা ব্যথার জন্য কাউফল ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৬* ফল সুস্বাদু ও সরস, কাউফল জনপ্রিয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল।
৭* এই ফল বাচ্চাদের শারীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও মেধা বিকাশের খুবই উপকারী ফল।
৮* ফল সার্বিক পুষ্টির বৃদ্বির জন্য প্রয়োজন হয়, যা অপরিহার্য পুষ্টির হৃদয়গ্রাহী তালিকা আছে।
৯* ফলে ক্যালোরি পরিমিতরূপে কম এবং কোন সম্পৃক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল রয়েছে৷ যাইহোক, খাদ্যতালিকা গত ফাইবারে সমৃদ্ধ৷
১০* ফল ভিটামিন সি এর খুব ভাল উৎস এবং 100 গ্রাম প্রতি আরডিএ প্রায় 12% প্রদান করে৷ ভিটামিন-সি।
১১* কাউ একটি শক্তিশালী জল দ্রবণীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে৷ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল শোষণের মানব দেহের ভাইরাল-ফ্লু বিরুদ্ধে প্রতিরোধের বিকাশ ও ক্ষতিকর, প্রো-উদ্দীপনাময় ফ্রি-মৌল ময়লা সাফ সাহায্য সাহায্য করে৷
১২* টাটকা কাউ ফল যেমন থিয়ামিন, নিয়াসিন এবং folates হিসেবে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স একটি মধ্যপন্থী উৎস৷ সাহায্য শরীরের কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, এবং চর্বি বিপাক cofactors হিসেবে এই ভিটামিন অভিনয় করছে৷
১৩* উপরন্তু, কাউ ফলে এটি কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেশিয়াম খনিজ একটি খুব ভাল পরিমাণ রয়েছে. পটাসিয়াম কোষ এবং শরীরের তরল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং নিয়ন্ত্রণ হৃদস্পন্দন সাহায্য করে।
১৪* কাউ ফলে দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটা স্ট্রোক এবং করোনারি হার্ট রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা উপলব্ধ করা হয়।
ফল হিসেবে সরাসরি খাওয়া ছাড়াও কাউ দিয়ে জ্যাম তৈরি করা হয়। কাউ গাছের কষ থেকে রঙ ও বার্নিশ তৈরি হয়।
কাউ গাছের ছাল ও ফল আমাশয় ও মাথা ব্যথার জন্য ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
★ বিলুপ্তপ্রায় কাউ ফল। ছোটবেলায় কাউ খাওয়ার স্মৃতি ভাসছে মনে। একসময় কাউ গাছ দেখা যেত।এখন আর চোখে পরে না।
অদূর ভবিষ্যতে এই ফলটি হারিয়ে যাবে।
এই ফল কে আর অবহেলা নয়।
সিজনে ফল সংগ্রহ করে খাবার টেবিলে রাখুন।
প্রতিদিন সুস্থ থাকুন।
বাড়ীর আঙিনায় একটি কাউফল গাছ লাগিয়ে দিন, পরবপরবর্তী প্রজন্মের জন্য।